টাইমসনিউজ ডেস্ক
চুক্তির মাধ্যমে বাণিজ্যিক পণ্য আমদানির নিয়ম শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন এ নীতিমালায় চুক্তির আওতায় আমদানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান আমদানি নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি বছর ৫ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত বাণিজ্যিক পণ্য আমদানি করতে পারবে। এক্ষেত্রে তাদের কোনো ঋণপত্র (এলসি) খোলার প্রয়োজন হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, নতুন সার্কুলারটিতে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে, যা চুক্তির মাধ্যমে আমদানি কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে এবং ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি হ্রাস করবে
তবে, পূর্বে চুক্তির আওতায় আমদানি করা পণ্যের মূল্য পরিশোধ বকেয়া থাকলে নতুন করে চুক্তির মাধ্যমে আমদানি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করবে না ব্যাংকগুলো।
এই সার্কুলারের নির্দেশনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইপিজেড/ইজেড)-এ কার্যরত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রযোজ্য হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সময়ে সময়ে যে সীমা নির্ধারণ করবে, তার মধ্যে থেকে অনুমোদিত পণ্য আমদানির জন্য মেয়াদি ঋণ গ্রহণ করা যাবে।
আমদানিকারকরা এই ধরনের ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তাদের ব্যয় সীমার মধ্যে থাকতে হবে।
ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ঋণপত্র (এলসি), স্ট্যান্ডবাই ঋণপত্র (এসবিএলসি) অথবা গ্যারান্টি প্রদান করতে পারবে।
সার্কুলার অনুযায়ী, আমদানি পণ্যের মূল্য পরিশোধ ও অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য কিস্তিতে ঋণ গ্রহণ করা যাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানিয়েছে, আমদানিকারকদের ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে কোম্পানির গ্যারান্টি, ব্যক্তিগত গ্যারান্টি অথবা তৃতীয় পক্ষের গ্যারান্টি প্রদানের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, ঋণপত্র (এলসি) ছাড়াই বাণিজ্যিক পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ৬০ দিন পর্যন্ত ঋণ সুবিধা প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন এই নিয়ম বিক্রয় চুক্তির আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি করবে।
এতে ‘তৃতীয় দেশ থেকে আমদানি/তৃতীয় দেশের ঋণপত্র’ বিষয়ক জটিলতা দূর হবে।
এছাড়াও, ভালো সম্পর্ক থাকা সরবরাহকারীদের কাছ থেকে চুক্তির মাধ্যমে পণ্য আমদানিতে সহায়তা করবে নতুন এই সার্কুলার।