টাইমসনিউজ ডেস্ক
ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাস ডিসেম্বরের মধ্যে ২০ হাজার ভিসা আবেদন নিষ্পত্তি করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অনেক ভিসা আবেদন আটকে আছে। ২০ হাজার ভিসা কেস রোম থেকে ক্লিয়ার্ড হয়েছে। সে ভিসাগুলো দেওয়ার অগ্রগতি খুব কম। ইতালি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যে এ ভিসাগুলো দিয়ে দেবেন। এছাড়া ইতালি দূতাবাস অতিরিক্ত ২-৩ জন কর্মকর্তা নিয়ে আসবে, তাঁরা আসলে কাজের গতি বাড়বে।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন ।
ইতালি দূতাবাসে প্রায় ৪০ হাজার আবেদন জমা আছে। দীর্ঘদিন যাবৎ অপেক্ষারত ইতালির ওয়ার্ক ভিসা প্রত্যাশীদের মধ্য থেকে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাৎকালে ভিসা ইস্যুকরণে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তাদের নানাবিধ ভোগান্তি-সহ এ সমস্যার দ্রুত সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য আবেদন করেন তাঁরা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রতিনিধিদলকে মিছিল-মিটিং ও ঘেরাও কর্মসূচি না করার জন্য বলেছি। এগুলো করলে ভিসা প্রত্যাশীদের কোনো লাভ হবে না, দেশেরও কোনো লাভ হবে না। কারণ, তারা যদি ভয় পায়, তাহলে বরং আরো অফিসার চলে যাবে। দেখা যাবে, ভিসা ইস্যু হচ্ছেই না। তিনি বলেন, আমরা ইতালি দূতাবাসকে চাপ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হবে। তিনি আরো বলেন, ভিসা দেওয়া বা না দেওয়া একটি দেশের সার্বভৌম অধিকার। ভিসা কেন দেওয়া হয়েছে বা দেওয়া হয়নি, সেটা আমরা জিজ্ঞাসা করতে পারি না।
বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এসেছে যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে গেছেন, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোনো তথ্য আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে সরকার নিশ্চিত হতে পারেনি। কনফার্মেশন অফিসিয়ালি কেউ দিতে পারেননি।
ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং নেতারা ট্র্যাভেল পাস নিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদেরকে ট্র্যাভেল পাস ইস্যু করবে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ মিশন ট্র্যাভেল পাস ইস্যু করতে পারে শুধু দেশে ফেরার জন্য, অন্য দেশে যাওয়ার জন্য নয়। অন্য দেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজন পড়ে। আদালত চাইলে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে বলেও সাংবাদিকদের জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ।
লেবানন থেকে প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, লেবানন থেকে যারা ফিরে আসতে চান, তাদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। প্রবাসীদের বলা হয়েছে ওয়ার জোন থেকে তারা যেন একটু উত্তরে সরে যায়। আমরা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) অনুরোধ করেছি, তারা যেন ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে দেয়, যাতে তারা দেশে চলে আসতে পারেন।