টাইমসনিউজ ডেস্ক
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইল (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের মধ্যে রোববার রাতে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটেছে। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২৯ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আরও ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বুটেক্সের আজিজ হল ও পলিটেকনিকের লতিফ হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘর্ষ দ্রুত অন্যান্য হলেও ছড়িয়ে পড়ে। মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। পরে উভয় পক্ষের শিক্ষক, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে অনেক শিক্ষার্থী লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তায় অবস্থান নেওয়ায় এলাকার পরিবেশ থমথমে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি মো. গাজী শামীমুর রহমান জানান, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। রাত দুইটার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা সরে যান।
সংঘর্ষের সূত্রপাত নিয়ে বিভিন্ন মত পাওয়া গেছে। একাংশের দাবি, কয়েকদিন আগে বুটেক্স ক্যাম্পাসে মাদক সেবন কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার জের ধরে এই সংঘর্ষ বাঁধে। অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, পলিটেকনিকের অধ্যক্ষকে ঘিরে ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরেই এই সংঘর্ষের সূত্রপাত।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।