টাইমসনিউজ ডেস্ক
ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে। দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আজ রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি: বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। ‘সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এফসিডিও’র সহযোগিতায় দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এই জাতীয় সংলাপের আয়োজন করে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে বিভিন্ন ধর্ম ও গোত্রের মানুষ সুপ্রাচীনকাল থেকেই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছে। জাতি হিসেবে আমাদের যা কিছু অর্জন তার পিছনে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অবদান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী প্রেক্ষাপটে আমরা যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি সেদেশ গড়তে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।
ড. খালিদ বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাধীনভাবে ধর্মপালন, ধর্মচর্চা ও প্রচারের অধিকার রয়েছে। এ অধিকার যাতে কেউ বিঘ্নিত করতে না পারে সেবিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে। কোনো দুর্বৃত্তকে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার সুযোগ সরকার দেবে না। তিনি আরো বলেন, শান্তি, সামাজিক সংহতি ও শক্তিশালী জাতীয় পরিচয় গড়ে তোলার জন্য ধর্মীয় সম্প্রীতি অপরিহার্য। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শ্রী হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, টালিথাকুমি চার্চের বিশপ ফিলিপ পি অধিকারী ও বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সুনন্দপ্রিয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মামুন আল মোস্তফা ‘বাংলাদেশের ধর্ম ও সংস্কৃতি: ঐতিহ্য, সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় ও শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে।