টাইমসনিউজ ডেস্ক
অভিবাসী কর্মীর নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসনের লক্ষ্যে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩’ অধিকতর সংশোধনের লক্ষ্যে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (সংশোধন) আইন, ২০২৩’ প্রণয়ন করা হয়।
২০২৩ সালের সংশোধিত আইনে ধারা ৩৫ নতুনভাবে প্রতিস্থাপিত হওয়ায় বর্তমানে শুধু রিক্রুটিং এজেন্সি কর্তৃক সরকারের অনুমোদন ছাড়া শাখা অফিস স্থাপন কিংবা সাব-এজেন্ট বা প্রতিনিধি নিয়োগ করলে বা কোনো ব্যক্তি নিজেকে সেই মর্মে উপস্থাপন করলে শাস্তি আরোপের বিধান রয়েছে। এ আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধের কারণে মোবাইল কোর্ট কর্তৃক দণ্ড প্রদানের সুযোগ সংকুচিত হয়েছে।
অভিবাসন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন অনিয়ম প্রতিরোধ, অভিযোগ হ্রাস ও অপরাধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দণ্ড আরোপের পরিধি বৃদ্ধির জন্য বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩-এর মূল ধারা ৩৫ যা ২০২৩ সালের সংশোধিত আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল তা আংশিক সংশোধনপূর্বক নিম্নরূপ “ধারা ৩৫ক। অন্যান্য অপরাধের দণ্ড।” হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে –
“কোনো ব্যক্তি যদি এই আইনে সুনির্দিষ্টভাবে দণ্ডের বিধান উল্লেখ নাই এইরূপ এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন তাহা হইলে তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।”
অভিবাসন সংক্রান্ত অভিযোগসমূহ তদারক, এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম জোরদারকরণ এবং জরুরি প্রয়োজন বিবেচনায় বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩-তে উপরোক্ত ধারা-৩৫ক জনস্বার্থে সংযোজন করা আবশ্যক।
উক্ত অধ্যাদেশটি উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে অনুমোদন করা হয়েছে।