টাইমসনিউজ ডেস্ক
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে সংস্কার করা উচিত যাতে এটি একটি প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। আমাদের এমন শিক্ষাব্যবস্থা দরকার, যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মানুষ হতে সাহায্য করবে। আমাদের তরুণদের মধ্যে সৃজনশীলতার যে সম্ভাবনা রয়েছে তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশে উদ্যোক্তাদের একটি প্রজন্ম তৈরি করতে হলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হতে হবে যাতে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে।
বুধবার রাজধানীর সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মানুষ জন্মগতভাবে উদ্যোক্তা। আর আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে। এটি একটি ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা।
‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে সংস্কার করা উচিত যাতে এটি একটি প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। আমাদের এমন শিক্ষাব্যবস্থা দরকার, যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মানুষ হতে সাহায্য করবে। আমাদের তরুণদের মধ্যে সৃজনশীলতার যে সম্ভাবনা রয়েছে তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা সচিবালয়ে তার প্রথম উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এবং পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করেন।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা উচিত নয় যেখানে শুধু পরীক্ষার নম্বরের ওপর জোর দেয়া হয়। পরীক্ষার নম্বর কত পেল সেটাই যে সবকিছু না, এটি সবার উপলব্ধি করা উচিত।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সমাজে জেনারেশন গ্যাপ (পূর্ববর্তী প্রজন্মের সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মের ব্যবধান) কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই নতুন প্রজন্মের ভাষা, তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং তাদের চিন্তার প্রক্রিয়া বুঝতে হবে। আমাদের জানতে হবে কীভাবে প্রবীণ প্রজন্ম তাদের অভিজ্ঞতা তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে শেয়ার করে নিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘তরুণ ও প্রবীণ প্রজন্মের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। এটি সমস্যা তৈরি করবে। আমাদের অবশ্যই দুই প্রজন্মের মধ্যে ধ্যান-ধারণার ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে।’
জাতীয় পাঠক্রমে পারিবারিক মূল্যবোধ অন্তর্ভুক্তির প্রতিও জোর দেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়ের উপস্থিত ছিলেন।