টাইমসনিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানের আপাতত দেশে ফেরা হচ্ছে না। ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে, কানপুরে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচটিই হয়ে গেল তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট।
কানপুর টেস্টের আগে সাকিব টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি ঢাকায় নিজ দেশের মাটিতে, নিজের ভক্তদের সামনে শেষ টেস্ট খেলে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে তার সেই ইচ্ছা অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে। দুবাই থেকে এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, ‘আমার দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে, নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে এখন হয়ত আমি আর ফিরতে পারছি না।’
সাকিবের এই সিদ্ধান্তের পেছনে ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তার নীরবতা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের একদল বিক্ষোভকারী তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে। আরেকটি গ্রুপ সাকিবকে স্টেডিয়ামে প্রবেশে বাধা দেওয়ার জন্য বিসিবিতে চিঠি দেওয়ার পরিকল্পনা করে।
সাকিব যখন কানপুরে অবসরের ঘোষণা দেন, তখন তিনি দেশে ফিরলে তার নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি ঢাকায় তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বোর্ডকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু বোর্ড এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।
বুধবার রাতে সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সাকিবকে দেশে ফেরার পরিকল্পনা বাতিল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে যে সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ার এখন অপ্রত্যাশিতভাবেই শেষ হয়ে গেছে।