আমিনুর রহমান নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
রবিবার (৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সুমাইয়ার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে সংবর্ধিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলাম।
সুমাইয়াকে সংবর্ধনা জাননোর সময়ে সাথে ছিলেন তাঁর মা মাতসুশিমা তমোবি ও বাবা মাসুদুর রহমান। এছাড়াও চুড়াইন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান লিটন উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসিফ হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসমা জাহান, উপজেলা প্রকৌশলী জুলফিকার হক চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. হাসান আহমেদ প্রমুখ।
জানা যায়, মাতসুশিমা সুমাইয়া একজন জাপানি-বাংলাদেশী ফুটবলার। তিনি জাপানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার মা মাতসুশিমা তমোবি জাপানি। আর তাঁর বাবা মাসুদুর রহমানের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার চুড়াইন গ্রামে।
মাতসুশিমা সুমাইয়ার বাবা মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, দুই বছর বয়সে বাংলাদেশে আসেন সুমাইয়া। পরে ২০০৮ সাল থেকে বাবার দেশ বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
সুমাইয়ার জাপানি মা মাতসুশিমা তমোবি পরিস্কার বাংলা ভাষায় জানান, সুমাইয়া রাজধানীর নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষে পড়ছেন। তিনি স্বামীর দেশেই থাকতে চান। এদেশের মানুষ তাঁর খুব ভাল লাগে। তিনি এদেশকে ভালোবেসে ফেলেছেন। মেয়ের সাফল্যে তিনি আনন্দিত।
সূত্র জানায়, সুমাইয়া বাংলাদেশ ও জাপানের দ্বৈত পাসপোর্টধারী। বাংলাদেশের নারী ফুটবলে সুমাইয়াই প্রথম প্রবাসী ফুটবলার, যিনি জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দলের নিয়মিত সদস্য।
বাংলাদেশ দলের অন্যান্য খেলোয়াড়ের মতো পথচলা নয় সুমাইয়ার। ২০২০ সালে বাফুফের কোচদের নজরে এসেছিলেন সুমাইয়া। কিন্তু তখন দলে ডাক পাননি। সুমাইয়া বাংলাদেশ ও জাপানের দ্বৈত পাসপোর্টধারী হওয়ায় তার জন্য জাপান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অনাপত্তিপত্র নিতে হয়েছে বাফুফেকে। ফলে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আর কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি।
২০২৩ সালে তাকে প্রথম অনুশীলন ক্যাম্পে ডেকেছিল বাফুফে। অন্যরা বয়সভিত্তিক দলগুলো পার করে আসলেও, সুমাইয়া সরাসরি সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলে। তাই অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে বেশ। সেই চ্যালেঞ্জকে জয় করেই সামনে এগিয়ে যেতে চান মাতসুশিমা সুমাইয়া এমন টাই জানান তাঁর পরিবার