টাইমসনিউজ ডেস্ক
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার পতনের পর সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়োজিত সকল সেনার জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। সাম্প্রতিক সংঘর্ষে বিরোধী বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে অথবা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে।
সিরিয়ার বিরোধী বাহিনীর সামরিক পরিচালনা প্রশাসন সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। বিবৃতিতে বলা হয়, আসাদের অধীনে সেনাবাহিনীতে কাজ করা ব্যক্তিদের জীবন সুরক্ষিত থাকবে এবং তাদের ওপর কোনো আক্রমণ করা যাবে না।
গত সপ্তাহে দামেস্ক, হোমস, আলেপ্পো ও হামায় সংঘর্ষের পর হাজার হাজার সেনা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে বাশার আল-আসাদের বাহিনী হিসেবে কাজ করায় সরকার পতনের পর তারা বিরোধী বাহিনীর প্রতিশোধের শিকার হওয়ার আশঙ্কা করছিল।
শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি, তুরস্ক সীমান্ত খুলছে
এদিকে, সিরিয়ার বিদ্রোহীশাসিত ইদলিবভিত্তিক সিরিয়ান স্যালভেশন সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে সম্মতি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালি। আল-আরাবিয়া টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে, বিদ্রোহী বাহিনীর প্রকাশিত এক ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী আল-জালালিকে হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আহমদ আল-শারা (আবু মোহাম্মদ জোলানি) ও স্যালভেশন সরকারের প্রধান মোহাম্মদ আল-বশিরের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার সঙ্গে সীমান্ত গেট খুলে দিচ্ছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, সিরিয়ার সঙ্গে থাকা ইয়াইলাদাগি সীমান্ত গেট শরণার্থীদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। তুরস্কে বর্তমানে ৩৫ লাখ সিরীয় শরণার্থী অবস্থান করছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের স্বদেশে ফেরাতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে আঙ্কারা।
এরদোয়ান আরও বলেছেন, সিরিয়ার পুনর্গঠনে তারা যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। তবে সীমান্তে নতুন কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উপস্থিতি মেনে নেওয়া হবে না।